মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন অরুন্ধতী মুখার্জির হাতে ট্রফি তুলে দিচ্ছেন ডালহৌসি ক্লাবের সভাপতি ডঃ পার্থসারথি গাঙ্গুলি।
মাইন্ড গেমস চেস অ্যাকাডেমি ও ডালহৌসি অ্যাথলেটিক ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল প্রথম কর্পোরেট ক্লাব দাবা প্রতিযোগিতা। প্রথম সংস্করণেই বিভিন্ন কর্পোরেট ক্লাব ও সংস্থা মিলিয়ে প্রায় ৪০ জন পেশাদার ও অপেশাদার দাবাড়ু অংশ নিয়েছিলেন। মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অরুন্ধতী মুখার্জি। ছেলেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন অয়ন তালুকদার। রানার্স স্পন্দন রায়। এছাড়া অন্যান্য বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কিরীট বিক্রম চন্দ, রমাপদ কর, ভিভান আয়ুনধিয়া, অয়ন মিত্র।
এই প্রতিযোগিতায় কর্পোরেট জগতের কর্তা–ব্যাক্তি থেকে শুরু করে অধ্যাপক, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের দাবাড়ু ও প্রথিতযশা দাবাড়ুদের বাবা–মায়েরাও অংশ নিয়েছিলেন। দারুণ জাঁকজমকভাবে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। হাজির ছিলেন ওয়েলফিনের কর্ণধার তাপস চক্রবর্তী, মাইন্ড গেম চেস অ্যাকাডেমির সভাপতি ও আর্বিটর অনির্বাণ মুখার্জি, সিইও ডঃ জয়ন্ত সরকার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী স্করপিও ইন্টারন্যাশনালের তাপস সর্দার, নীতেশ ম্যানেজমেন্টের নীতিশ শীট,
বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরি, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ডঃ স্নেহাশিস শূর, ডালহৌসি ক্লাবের সভাপতি ডঃ পার্থসারথি গাঙ্গুলি, সচিব কৌশিক সেনগুপ্ত প্রমুখ।
প্রেস ক্লাবের সভাপতি ডঃ স্নেহাশিস শূর বলেন, ‘মাইন্ড গেম চেস অ্যাকাডেমি নানান বয়সের কর্পোরেটদের নিয়ে শুধু নয়, ক্যান্সার বা থ্যালাসেমিয়া পেশেন্টদের সহযোগিতার জন্যও সারা বছর দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এই সংস্থার উদ্যোগ দুর্দান্ত। এই অভিনব আয়োজনে আমি সব সময় হাজির থাকার চেষ্টা করি।’ বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরি মাইন্ড গেম চেস অ্যাকাডেমিকে আগামী দিনে ক্যালকাটা রোয়িং ক্লাবে আন্তঃ ক্লাব চেস টুর্নামেন্টের আয়োজনের জন্য উদ্যোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
মাইন্ড গেম চেস অ্যাকাডেমির সভাপতি অনির্বাণ মুখার্জি বলেন, ‘আমরা সারা বছর ধরে এরকম মহৎ কাজের জন্য টুর্নামেন্ট আয়োজন করে থাকি। বয়স্ক এবং বিশেষ করে যারা একাকিত্বে ভোগেন, তাঁদের দাবা খেলার জন্য আমরা সব সময় উৎসাহিত করি।’ সিইও ডঃ জয়ন্ত সরকার বলেন, ‘বয়স্ক ব্যক্তিদের একাকিত্ব থেকে কিছুটা মুক্তি দেওয়া তো বটেই, তার থেকেও বড় কথা, যে সমস্ত কর্পোরেট ব্যক্তিরা সারাদিনের ক্লান্তিতে বিপর্যস্ত থাকে তাঁদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার অন্যতম হাতিয়ার হল দাবা। আর বিশেষ করে অ্যালজাইমার ও ডিমেনশিয়া থেকে মুক্তির জন্য দাবা যে অন্যতম মাধ্যম হতে পারে তা আজ প্রমাণিত। আজকের এই প্রতিযোগিতার জন্য ডালহৌসি অ্যাথলেটিক ক্লাবের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ।’