আবার বাংলার ক্রিকেটের মসনদে বসলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার ছিল সিএবি–তে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষদিন। বিরোধীরা কোনও মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় সৌরভ গাঙ্গুলিদের পুরো প্যানেলই নির্বাচিত হল।
রবিবার বিকালে সিএবি নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষদিন ছিল। এদিন সভাপতি পদে জন্য মনোনয়ন জমা দেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এছাড়া সহ–সভাপতি পদে নীতিশরঞ্জন (অনু) দত্ত, সচিব পদে বাবলু কোলে, যুগ্ম–সচিব পদে মদন ঘোষ এবং কোষাধ্যক্ষ পদে সঞ্জয় দাস মনোনয়ন জমা দেন। আর কোনও মনোনয়ন জমা না পড়ায় প্রত্যেকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। পুনরায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় বাংলার ক্রিকেট প্রশাসনে আবার সৌরভরাজ শুরু হল। দাদা স্নেহাশিস গাঙ্গুলির জায়গায় তিনি সভাপতি পদে এলেন।
নিজের পছন্দের অ্যাপেক্স কাউন্সিলও তৈরি করে নিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। অ্যাপেক্স কাউন্সিলে রয়েছেন, রবি টোডি, সৌমিক বসু, জয়দীপ মুখার্জি, নীলাঞ্জনা বসু, সৌমেন্দু চ্যাটার্জি, সুরজিৎ লাহিড়ী, গৌতম গোস্বামী, বিবেক লোহিয়া, আশিস চক্রবর্তী, নভরতন ঝাওয়ার, কৌশিক মুখার্জি। এছাড়া আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটার হিসেবে নেওয়া হবে দেবাং গান্ধীকে।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সৌরভ বলেন, ‘যারা আমাকে সমর্থন করেছেন, সবাইকে ধন্যবাদ। এখানে আর বিরোধী বলে কিছু নেই। সবাই অ্যাসোসিয়েশনের অংশ। ১৪৬ জনই আমার কাছের লোক। বাংলার ক্রিকেটের স্বার্থে সবাই মিলে এবার কাজ করব। আমাদের সবাইকে বাংলার ক্রিকেটের উন্নতি মাথায় রাখতে হবে।’
সৌরভ আরও বলেন, ‘ক্রিকেট প্রশাসনের দায়িত্ব আমার কাছে নতুন কোনও চ্যালেঞ্জ নয়। ৮ বছর ক্রিকেট প্রশাসনের দায়িত্ব সামলেছি। এরমধ্যে ৫ বছর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলে। ৩ বছর ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডে।’ এই তৃতীয় ইনিংসে নিজের সেরা পারফরমেন্স উজাড় করে দিতে চান সৌরভ।
বাংলার ক্রিকেটের উন্নতির ব্যাপারে সৌরভ বলেন, ‘বাংলার ক্রিকেটারদের নিয়েই আমার আগ্রহ সবথেকে বেশি। আমি তো আর খেলতে পারব না। ব্যাট–বল করতে পারব না। আমি শুধুমাত্র ওদের সাহায্য করতে পারি, সঠিক পথটা দেখাতে পারি। সবসময় একটা কথা বিশ্বাস করি, প্রশাসনে যেই থাকুক না কেন, ক্রিকেটাররাই শেষ কথা বলে। কারণ ব্যাটিং এবং বোলিংটা ওরাই করে।’