আদর্শ ব্যাটিং উইকেট। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট উপহার দিয়ে প্রথম দিনের শেষে ৮ উইকেটে মাত্র ২২০ রান তুলতে সমর্থ হয় বেঙ্গল টাইগাররা। অকারণে তাড়াহুড়ো, খারাপ শট খেলার মাশুল গুনতে হল বাংলাদেশকে।
কলম্বোর উইকেট ব্যাটারদের সাহায্য করবে। একথা মাথায় রেখে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লক্ষ্য ছিল প্রথম ইনিংসে বড় রান তুলে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলা। এছাড়া চতুর্থ ইনিংসে স্পিনাররা সাহায্য পেতে পারেন, সেকথাও মাথায় রেখেছিলেন নাজমুল হোসেন। কিন্তু ব্যাটারদের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে ফায়দা তুলতে পারল না বাংলাদেশ।
সকালের দিকে উইকেট থেকে সামান্য সুবিধা আদায় করে নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার জোরে বোলাররা। দিনের বাকি সময়ে উইকেট থেকে আর কোনও সুবিধা পাননি বোলাররা। ভাল শুরু করেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাদমান ইসলামরা। দিনের পঞ্চম ওভারে এনামুল হক (০) ফিরে যাওয়ার পর পরিস্থিতি সামাল দেন মোমিনুল হক (২১) ও সাদমান ইসলাম। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ২ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান তোলে বাংলাদেশ।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরেই জোড়া ধাক্কা। পরপর ফিরে যান নাজমুল হোসেন (৮) ও সাদমান ইসলাম (৪৬)। এরপর জুটি পঞ্চম উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ৬৭ রানের জুটি পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়। লিটন ও মুশফিকুর দুজনই দু’বার করে জীবন পেয়েও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩৫ রান করে আউট হন মুশফিকুর। ৩৪ রান করেন লিটন। এই দুজন ফিরে যাওয়ার পর নঈমকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছন মেহেদি হাসান মিরাজ।
দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় আউট হন মেহেদি হাসান (৩১)। দিনের শেষ বেলায় আউট হন নঈম হাসান (২৫)। শেষ সেশনে ৭৬ রান ওঠে ৩ উইকেট হারিয়ে। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন তাইজুল ইসলাম (৯) ও ইবাদত হোসেন (৫)। শ্রীলঙ্কার হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আসিতা ফার্নান্ডো, ভীষ্ম ফার্নান্ডো ও সোনাল দিনুশা।
আরও পড়ুনঃ কলকাতা লিগের জমকালো উদ্বোধন, জয় দিয়ে অভিযান শুরু বেহালা এসএস–এর