লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টিম লিস্টে চমক। রোহিত শর্মার নাম নেই। তাহলে কি খারাপ ফর্মের জন্য বাদ? টস করতে এসে হার্দিক পাণ্ডিয়া অবশ বলে গেলেন, নেটে অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পেয়েছেন রোহিত। তাই লখনউ–র বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না। হার্দিকেক কথা কতটা সত্য সময়ই বলবে। তবে রোহিতের যে শেষের শুরু হয়ে গেছে, সেকথা বলা যেতেই পারে। রোহিতকে ছাড়াই লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মুম্বইয়ের ভাগ্য বদলাল না। আবার সেই হারের মুখে পড়তে হল। লখনউ–র কাছে হার ১২ রানে।
একনা স্টেডিয়ামে টস জিতে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া। শুরু থেকেই ঝড় তোলেন মিচেল মার্শ। তাঁর দাপটেই পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে ৬৯ রান তোলে লখনউ। আগের ম্যাচে চমক দেখানো অশ্বিনী কুমারের বলে ষষ্ঠ ওভারে ২৩ রান তোলেন মিচেল মার্শ। তাঁর হাফ সেঞ্চুরি আসে ২৭ বলে। সপ্তম ওভারে ভিগনেশ পুথুরের বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্শ। ৩১ বলে ৬০ রান করে তিনি আউট হন। ১ ওভার পরেই নিকোলাস পুরানকে (৬ বলে ১২) তুলে নেন হার্দিক পাণ্ডিয়া।
লোকেশ রাহুলকে ছেঁটে ফেলে এবছর সর্বোচ্চ মূল্যে ঋষভ পন্থকে তুলে নিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। তুলে দিয়েছে নেতৃত্বের আর্ম ব্যান্ড। ২৭ কোটির ঋষভের চলতি আইপিএলে অবদান কী? চার ম্যাচে যথাক্রমে ০, ১৫, ২, ২। ভাগ্যিস এইডেন মার্করাম (৩৮ বলে ৫৩), আয়ুশ বাদোনি (১৯ বলে ৩০), ডেভিড মিলাররা (১৪ বলে ২৭) ছিলেন। এদের সৌজন্যেই ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৩ রানে পৌঁছয় লখনউ। দুরন্ত বোলিং করে ৩৬ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তাঁর শিকারের তালিকা চোখে পড়ার মতো। ফেরান মার্করাম, পুরান, ঋষভ, মিলারের মতো ব্যাটারদের।
রোহিত শর্মার পরিবর্তে রায়ান রিকেলটনের সহ্গে এদিন ওপেন করতে এদিন ওপেন করতে নেমেছিলেন উইল জ্যাকস। ২.২ ওভারের মধ্যে মুম্বইয়ের দুই ওপেনারই সাজঘরে। প্রথমে জ্যাকসকে (৭ বলে ৫) তুলে নেন চোট কাটিয়ে দলে ফেরা আকাশ দীপ। রায়ান রিকেলটনও (৫ বলে ১০) রান পাননি। ৩ নম্বরে নামা নমন ধীর ও সূর্যকুমার যাদব পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন। নবম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৮৬ রানের মাথায় আউট হন নমন (২৪ বলে ৪৬)।
নমন ফিরে যাওয়ার পর দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন সূর্যকুমার ও তিলক ভার্মা। ৪৩ বলে ৬৭ রান করে আউট হন সূর্যকুমার। ২৩ বলে ২৫ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হন তিলক। হার্দিক পাণ্ডিয়া চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে পারেননি। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯১ রান তোলে মুম্বই। ১৬ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক।