এবছর টি২০ বিশ্বকাপ জিতে রোহিত শর্মারা যে পরিমান আর্থিক পুরস্কার পেয়েছেন, হরমনপ্রীত কাউরা জিতলেও সমপরিমান আর্থিক পুরস্কার পাবেন। অর্থাৎ পুরুষদের টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দল যে আর্থিক পুরস্কার পেয়েছে, মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলও সমপরিমান আর্থিক পুরস্কার পাবে। এমনই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। এতদিন আইসিসি–র টুর্নামেন্টে পুরুষ ও মহিলাদের পুরস্কারমূল্যে যে বৈষম্য ছিল, তা ঘুচিয়ে দিল আইসিসি।
৩ অক্টোবর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে শুরু হচ্ছে মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ। আয়োজক বাংলাদেশ। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগিতা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিশ্বকাপের পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করেছে আইসিসি। এবারের বিশ্বকাপে চাম্পিয়ন দল পাবে ২.৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গতবারের তুলনায় ১৩৪ শতাংশ বেশি। আগের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল ১০ লক্ষ মার্কিন ডলার।
শুধু চ্যাম্পিয়ন দলের ক্ষেত্রেই নয়, সামগ্রিক পুরস্কারমূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। রানার্স দল পাবে ১.১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের বিশ্বকাপে রানার্স দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছিল ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার। সেমিফাইনালে পরাজিত দলগুলি পাবে ৬,৭৫,০০০ মার্কিন ডলার করে। আগের বিশ্বকাপে এই পুরস্কারমূল্য ছিল ২,১০,০০০ মার্কিন ডলার। গ্রুপ পর্বে প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য দলগুলি পাবে ৩১,১৫৪ মার্কিন ডলার করে। যে ৬টি দল সেমিফাইনালের ছাড়পত্র পাবে না, লিগ টেবিলে অবস্থানের ভিত্তিতে সেই দলগুলিকে ১.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ভাগ করে দেওয়া হবে। গ্রুপ পর্বে তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানাধিকারী দল পাবে ২,৭০,০০০ মার্কিন ডলার। পঞ্চম স্থানাধিকারী দল পাবে ১,৩৫,০০০ মার্কিন ডলার।
এবারের মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপে সামগ্রিকভাবে মোট পুরস্কারমূল্য ৭,৯৫৮,০৮০ মার্কিন ডলার। গত বছর ছিল ২.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এবার মোট পুরস্কারমূল্য ২২৫ শতাংশ বাড়ছে। মহিলা ক্রিকেটকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্যই পুরুষদের সঙ্গে বৈষম্য ঘোঁচাচ্ছে আইসিসি। ২০৩২ সালের মধ্যে মহিলা ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু পরিকল্পনাও নিয়েছে। গত বছর জুলাইয়ে আইসিসি–র বার্ষিক অধিবেশনে পুরুষ ও মহিলাদের প্রতিযোগিতায় পুরস্কারমূল্যের বৈষম্য ঘোচানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার তা কার্যকর করা হচ্ছে।