দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে হার দিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু। পরের ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে জয়। এরপর পাঞ্জাবের কাছে আবার হার। সেই হারের ধাক্কা কাটিয়ে দারুণ ছন্দে লখনউ সুপার জায়ান্টস। টানা ৩ ম্যাচে জয় তুলে নিল ঋষভ পন্থের দল। শনিবার গুজরাট টাইটান্সকে হারাল ৬ উইকেটে। লখনউ জিতলেও ব্যাট হাতে আবার ব্যর্থ অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। অধিনায়কের ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন নিকোলাস পুরান।
ঘরের মাঠে টস জিতে গুজরাট টাইটান্সকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। দারুণ শুরু করেছিলেন গুজরাটের দুই ওপেনার সাই সুদর্শন ও শুভমান গিল। ওপেনিং জুটিতে ১২ ওভারে তুলে ফেলেন ১২০। ৩২ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমান গিল। পরের ওভারেই হাফ সেঞ্চুরি আসে সাই সুদর্শনের। তিনিও ৩২ বলে হাপ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
একাদশ ওভারে প্রথম ধাক্কা খায় গুজরাট। ওভারের প্রথম বলেই শুভমানকে (৩৮ বলে ৬০) তুলে নেন আবেশ খান। পরের ওভারের প্রথম বলে সুদর্শনকে (৩৭ বলে ৫৬) ফেরান রবি বিষ্ণোই। ওভারের শেষ বলে তুলে নেন ওয়াশিংটন সুন্দরকে (৩ বলে ২)। জোড়া ধাক্কা সামলাতে পারেনি গুজরাট। রান তোলার গতি অনেকটাই কমে যায়। ১২ ওভারে যেখানে ছিল ১২০, সেখানে ১৬ ওভার শেষে গুজরাটের রান পৌঁছয় ১৩৯–এ। অর্থাৎ ৪ ওভারে ওঠে মাত্র ১৯। এর ফাঁকেই হারায় ৩ উইকেট। ১৭ তম ওভারে দিগ্বেশ রাঠির প্রথম বলেই শেরফানে রাদারফোর্ডের ক্যাচ ফেলেন ঋষভ পন্থ। দিগ্বেশ অবশ্য ওই ওভারেই জস বাটলারকে (১৪ বলে ১৬) তুলে নেন। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হন রাদারফোর্ড। ১৯ বলে ২২ রান করেন তিনি নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৮০/৬ রান তোলে গুজরাট। শার্দূল ঠাকুর ৩৪ রানে ও রবি বিষ্ণোই ৩৬ রানে ২ টি উইকেট নেন।
গুজরাট টাইটাইন্সের বিরুদ্ধে ওপেন জুটিতে বদল করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। চোটের জন্য মিচেল মার্শ ছিটকে যাওয়ায় এদিন এইডেন মার্করামের সঙ্গে শুরুতেই ঋষভ পন্থ। ব্যাটিং অর্ডারে নিজেকে ওপরে তুলে নিয়ে এসেও রান পেলেন না ২৭ কোটি মূল্যের ক্রিকেটার। ১৮ বলে ২১ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলে আউট হন ঋষভ। ৬.২ ওভারে ৬৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় লখনউ।
ঋষভ ফিরে যাওয়ার পর লখনউতে এগিয়ে নিয়ে যান মার্করাম ও নিকোলাস পুরান। চলতি আইপিএলে দারুণ ছন্দে লখনউ–র এই দুই ব্যাটার। বিশেষ করে নিকোলাস পুরান। রাখলেন। ৩১ বলে ৫৮ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে আউট হন মার্করাম। এরপর দলের জয় অনেকটাই নিশ্চিত করেন নিকোলাস পুরান। রীতিমতো ঝড় তুলে ৩৪ বলে ৬১ রান করে আউট হন তিনি। এবছর আইপিএলে ৬ ইনিংসে তাঁর রান ৭৫, ৭০, ৪৪, ১২, ৮৭ ও ৬১। পুরান ফিরে যাওয়ার পর দলকে জয় এনে দেন আয়ুশ বাদোনি (২০ বলে অপরাজিত ২৮)। ৩ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় লখনউ।