রিয়েল মাদ্রিদের ঘুরে দাঁড়ানোর অভ্যাস বরাবরের। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বে আর্সেনালের কাছে ৩–০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পরও দলকে ঘিরে স্বপ্ন দেখেছিলেন সমর্থকরা। আশায় ছিলেন নিজেদের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ঘুরে দাঁড়াবে দল। সে সুযোগ দিল না আর্সেনাল। দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচেও জয় বুকায়ো সাকাদের। বার্নাব্যুতে রিয়েল মাদ্রিদকে ২–১ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল আর্সেনাল। দুই পর্ব মিলিয়ে তাদের জয় ৫–১ ব্যবধানে। ১৬ বছর পর আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল ইংল্যান্ডের এই দলটি। ইন্টার মিলানের সঙ্গে ড্র করে বিদায় বায়ার্ন মিউনিখেরও।
৩ গোলের ব্যবধান মুছে সেমিফাইনালে যেতে গেলে অবিশ্বাস্য ফুটবল উপহার দিতে হত রিয়েল মাদ্রিদকে। শুরু থেকে সেটাই করছিলেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপে, জুড বেলিংহামরা। কিন্তু রিয়েলের একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত হয় আর্সেনালের জমাট রক্ষণে। তার মাঝেই শুরুতেই ভিনিসিয়াসের সেন্টারে হেডে আর্সেনালের জালে বল পাঠিয়েছিলেন এমবাপে। অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়। ৬ মিনিটে প্রতিআক্রমণে গোলের সুযোগ এসে গিয়েছিল বুকায়ো সাকার সামনে। তাঁর জোরালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট। কিছুক্ষণ পর রিয়ালের রাউল আসেনসিও নিজেদের বক্সে মিকেল মেরিনোকে ফেলে দিলে পেনাল্টি পায় আর্সেনাল। বুকায়ো সাকার শট আটকে দেন রিয়েল গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া।
ম্যাচের ২৩ মিনিটে ঘটে চূড়ান্ত নাটক। ডেকলান রাইস নিজেদের বক্সে এমবাপের জার্সি টেনে ধরেন। রেফারি লেতেক্সিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। রাইসকে হলুদ কার্ডও দেখান। আর্সেনাল ফুটবলাররা তীব্র প্রতিবাদ জানান। রেফারি ‘ভার’–এ সিদ্ধান্ত যাচাই করেন। ৫ মিনিট ধরে রিপ্লে দেখেন। রিপ্লেতে ধরা পড়ে এমবাপেকে রাইস জার্সি টেনে ধরার আগেই অফসাইডে ছিলেন রড্রিগো। পেনাল্টি বাতিল করে রাইসের হলুদ কার্ডও তুলে নেন রেফারি। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফল থাকে গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে খেলার গতির বিরুদ্ধে গোল করে আর্সেনাল। বুকায়ো সাকা গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। ২ মিনিটের মধ্যেই উইলিয়াম সালিবার কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে সমতা ফেরান ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ইনজুরি সময়ের ৩ মিনিটে মাথায় মার্তিনেল্লি আর্সেনালের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। ২০২০ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠতে ব্যর্থ গতবারের চ্যাম্পিয়ন রিয়েল মাদ্রিদ। অন্যদিকে, ১৬ বছরের খরা কাটিয়ে আবার শেষ চারে আর্সেনাল।
অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইন্টার মিলান। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় প্রথম প্রবে বায়ার্ন মিউনিখকে ২–১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টার মিলান। নিজেদের মাঠ সান সিরোতে ইন্টারকে দ্বিতীয় পর্বে ড্র করলেই চলত। রোমাঞ্চকর ম্যাচ ২–২ গোলে ড্র হয়েছে। চারটি গোলি হয়েছে বিরতির পর ২৪ মিনিটের মধ্যে। দুই পর্ব মিলিয়ে ৪–২ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইন্টার মিলান।
আরও পড়ুনঃ কামাল মিচেল স্টার্কের, নাটকীয় ম্যাচে সুপার ওভারে জয়, আবার শীর্ষে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস