ইস্টবেঙ্গল গতবছরের লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেও জট না কাটায় সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা করেনি আইএফএ। গতবছরের চ্যাম্পিয়ন দলের এবছর সুপার সিক্সে ওঠা নিয়ে একসময় আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। আশঙ্কা উড়িয়ে আগের ম্যাচে জর্জ টেলিগ্রাফকে হারিয়েই কার্যত সুপার সিক্স নিশ্চিত করে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার কালীঘাট মিলন সঙ্ঘকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়ে ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল লাল–হলুদ ব্রিগেড।
আগের ম্যাচে জর্জ টেলিগ্রাপের বিরুদ্ধে প্রথম দলের ৬ জন ফুটবলারকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জ। এদিনও তার ব্যতিক্রম ছিল না। আক্রমণভাগে বিষ্ণু, ডেভিডের মতো স্ট্রাইকাররা। মাঝমাঠে সৌভিক চক্রবর্তী। রক্ষণে প্রভাত লাকড়া, গোলে দেবজিৎ মজুমদার। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল ইস্টবেঙ্গলের। ৬ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। ডেভিডের সেন্টার ফাঁকায় পেয়ে গিয়েছিলেন পিভি বিষ্ণু। বাইরে হেড করেন। বিষ্ণু, ডেভিডের মতো স্ট্রাইকাররা থাকতেও ইস্টবেঙ্গলেক গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হল ২৫ মিনিট পর্যন্ত।
মাঝমাঠ থেকে দুর্দান্ত থ্রু বাড়িয়েছিলেন সৌভিক চক্রবর্তী। সেই থ্রু ধরে বিষ্ণু পাস দেন ডেভিডকে। কালীঘাট গোলকিপারকে সামনে একা পেয়ে গোল করতে অসুবিধা হয়নি ডেভিডের। ২ মিনিট পরই ইস্টবেঙ্গলকে ন্যায্য পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত করেন রেফারি। নিজেদের বক্সের মধ্যে ডেভিডকে কালীঘাট গোলকিপার টেনে ফেলে দিলেও এড়িয়ে যান রেফারি। এরপরও বিষ্ণু, ডেভিডদের সামনে গোলের সুযোগ এসেছিল। কাজে লাগাতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধে আমন সিকে–র পরিবর্তে ভানলালপেকা গুইতে নামতেই ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণে আরও গতি বাড়ে। ৫৩ মিনিটে তাঁর গোলেই ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। বাঁদিক থেকে সেন্টার করেছিলেন ডেভিড। ডি বক্সের মধ্যে রিসিভ করেই দুর্দান্ত শট। বল জালে। কালীঘাট গোলকিপারের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার ছিল না। ৬২ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন সায়ন ব্যানার্জি। ৬৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান কালীঘাটের দেবাদাত এস। ৮০ মিনিটে সমতা ফেরাতে পারত কালীঘট। সমরেশ দাসের সেন্টার বারে লেগে ফিরে আসায় বেঁচে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৮৭ মিনিটে একক প্রয়াসে ৩–১ করেন শ্যামল বেসরা।
আরও পড়ুনঃ দুরন্ত হ্যাটট্রিক অধিনায়ক হরমনপ্রীতের, শক্তিশালী চীনকে ৪–৩ ব্যবধানে হারিয়ে এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু ভারতের
আরও পড়ুনঃ সোনা পুনরুদ্ধারে ব্যর্থ, জুরিখেও ডায়মন্ড লিগে রুপো জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হল নীরজ চোপড়াকে