কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটা দলের রক্ষণ সামলাচ্ছেন দুই বিদেশি সুলে মুসা ও ডগলাস ডি’সিলভা। বিপক্ষে গোল করার জন্য মরিয়া রমন বিজয়ন ও অসীম বিশ্বাস। অন্যদলের রক্ষণে আবার সেই পুরনো জুটি দীপক মণ্ডল ও এম সুরেশ। যাদের বাধা টপকানোর অদম্য প্রয়াস ব্রনো কুটিনহো, আলভিটো ডি’কুনহাদের। অশোকনগরের ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় স্টেডিয়ামে ফিরে এল সোনালি অতীত।
মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করার জন্য ‘ম্যাচ ফর বেঙ্গল’–এর আয়োজন করেছিলেন অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি নারায়ন গোস্বামী। ম্যাচ আয়োজনের পুরো দায়িত্ব ছিল পি আর সলিউশন ও প্যারালাল স্পোর্টসের। মহৎ উদ্যোগে আয়োজিত এই ম্যাচে অংশ নিয়েছিল লেজেন্ড রেড ও লেজেন্ড ব্লু। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ছিল গোলশূন্য। টাইব্রেকারে ৩–১ ব্যবধানে লেজেন্ড ব্লু দলকে হারিয়েছে লেজেন্ড রেড দল।
রেড দলের হয়ে টাইব্রেকারে তিনটি শটেই গোল করেন ভেঙ্কটেশ সম্মুগম, কিংশুক দেবনাথ ও অসীম বিশ্বাস। সুলে মুসা ও মেহতাব হোসেনের শট আটকে ম্যাচের নায়ক রেড দলের গোলকিপার সংগ্রাম মুখার্জি। ব্লু দলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অর্ণব মণ্ডল। ডগলাস ডি’সিলভা বাইরে মারেন। বাকি দুটি শট নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে এদিন অশোকনগর স্টেডিয়ামে ভিড় জমিয়েছিলেন দর্শকরা। দুই দলের হয়ে এদিন মাঠে নেমেছিলেন একসময় ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগানের জার্সি গায়ে ময়দান কাঁপানো ফুটবলাররা। গ্যালারিতেও যেন ডার্বির আঁচ। ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগানের পতাকা নিয়ে অনেকে হাজির ছিলেন। মুখে দুই ক্লাব, ফুটবলারদের নামে জয়ধ্বনি। সুরেশ, দীপকদের সেই স্লাইডিং ট্যাকেল, আলভিটোর বাঁপায়ের ডিফেন্স চেরা থ্রু, সুলে মুসা, ডগলাসদের টাফ ফুটবল দর্শকদেরও যেন সোনালি অতীতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
তিন কাঠির নীচে অপ্রতিরোধ্য ছিলেন সংগ্রাম মুখার্জি, অভ্র মণ্ডলরা। মাঝমাঠে মেহতাব, ডগলাস, ষষ্ঠী দুলেদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়লেন না ডেনসন দেবদাস, ভেঙ্কটেশরা। চ্যারিটি ম্যাচ থেকে সংগৃহীত ৫ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে। এই ধরণের মহৎ উদ্যোগে সামিল হতে পেরে আপ্লুত আলভিটো, মেহতাব, রহিম নবির, সুলে মুসা, ভেঙ্কটেশ সম্মুগমরা।
আরও পড়ুনঃ লালহলুদ সূর্যোদয়, দিয়ামানতাকোসের গোলে অবশেষে আইএসএলে প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল