প্রথম ম্যাচে মহমেডানকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ অভিযান শুরু করেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দ্বিতীয় ম্যাচেও বিএসএফের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিল সবুজ–মেরুন ব্রিগেড। তবে ডায়মন্ড হারবার এফসি–কে টপকাতে পারল না। এই বিএসএফ–কেই ৮–১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। আর মোহনবাগান জিতল ৪–০ ব্যবধানে। মোহনবাগান ও ডায়মন্ড হারবার দুটি করে ম্যাচ জিতলেও গোলপার্থক্যে শীর্ষে কিবু ভিকুনার দল। ২ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট ৬। গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ দুই দলের কাছেই শীর্ষে থাকার লড়াই।
গ্রুপ শীর্ষে থাকতে গেলে এদিন বিএসএফের বিরুদ্ধে ৭ গোলের ব্যবধানে জিততে হত। দুর্বল বিএসএফের বিরুদ্ধে দাপট নিয়ে শুরু করলেও চারের বেশি গোল তুলে নিতে পারেনি হোসে মোলিনার দল। এদিন বেশ শক্তিশালী দলই নামিয়েছিল মোহনবাগান। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট। ১২ মিনিটে মোহনবাগানের সামনে প্রথম সুযোগ এসেছিল। মাঝমাঠ থেকে বাঁদিকে লিস্টন কোলাসোকে বল বাড়িয়েছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা। সেই বল ধরে উঠে গিয়ে মাইনাস করেন লিস্টন। বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন অনিরুদ্ধ।
অবশেষে ২৪ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বাঁদিক থেকে উঠে এসে সেন্টার করেছিলেন রোশন। ৬ গজ বক্সের মাথা থেকে বিনা বাধায় হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মনবীর সিং। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। লিস্টন কোলাসোর পাস থেকে বল পেয়ে গোলে রাখতে পারেননি অনিরুদ্ধ থাপা। প্রথমার্ধে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।
আক্রমণে আরও গতি নিয়ে আসতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিন–তিনটি পরিবর্তন করেন বাগান কোচ হোসে মোলিনা। মাঠে নিয়ে আসেন সাহাল আব্দুল সামাদ, কিয়ান নাসিরি ও আরবার্তো রডরিগেজকে। ১০ মিনিটের ঝড়ে ৩ গোল। ৫৩ মিনিটে বাঁদিক থেকে বল নিয়ে উঠে গিয়ে লিস্টন কোলাসো মাইনাস করেন সাহাল আব্দুল সামাদকে। আবার বক্সের মধ্যে আবার লিস্টনকে বল বাড়ান সাহাল। জটলার মধ্যে থেকে ডানপায়ের শটে ২–০ করেন লিস্টন। ৫৮ মিনিটে আবার গোল লিস্টনের। মাঝমাঠ থেকে লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন সাহাল। সেই বল ধরে বক্সে ঢুকে আগুয়ান গোলকিপারের পাশ দিয়ে বাঁপায়ের ছোট্ট টোকায় জালে পাঠিয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোল করেন লিস্টন।
৬১ মিনিটে আবার গোল মোহনবাগানের। একক প্রয়াসে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে ৪–০ করেন সাহাল আব্দুল সামাদ। গোলকিপারকে পরাস্ত করে তিনি শট নিয়েছিলেন। বিএসএফের এক ডিফেন্ডার গোলের ভেতর থেকে হেডে বল ক্লিয়ার করেন। বল গোললাইন অতিক্রম করায় রেফারি গোলের সিদ্ধান্ত দেন। এরপর বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি হলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি মোহনবাগান। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে ডি বক্সের বাইরে থেকে ডানপায়ে গোলার মতো শট নিয়েছিলেন আলবার্তো রডরিগেজ। দুর্দান্ত সেভ করেন বিএসএফ গোলকিপার হরপ্রীত সিং।
আরও পড়ুনঃ দুরন্ত বোলিং করে প্রায়াশ্চিত্য সিরাজের, ওভালে অবিশ্বাস্য জয় ভারতের, তেন্ডুলকার–অ্যান্ডারসন সিরিজ ড্র