প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ যে কোনও দলের কাছেই কঠিন। আর অচেনা প্রতিপক্ষ হলে তো কথাই নেই। কঠিন কাজটাই সম্মানের সঙ্গে উতরে গেল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস। ডুরান্ড কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে ১–০ ব্যবধানে হারাল ডাউনটাউন হিরোজকে। মোহনবাগানের জয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সুহেল ভাট। ভাল না খেলেও ডুরান্ড কাপের গ্রুপ লিগের প্রথম ম্যাচে ৩ পয়েন্ট ঘরে এল মোহনবাগানের।
সিনিয়র দলের এখনও অনুশীলন শুরু হয়নি। ডুরান্ড কাপে জুনিয়র দল খেলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তারা। কলকাতা লিগের দলের সঙ্গে কয়েকজন আশিস রাই, গ্লেন মার্টিন্সের মতো কয়েকজনকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন কোচ বাস্তব রায়। একমাত্র বিদেশি টম অ্যালড্রেড। প্রথম ম্যাচে সেভাবে নজর কাড়তেও পারলেন না। মোহনবাগানও কিন্তু নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। কলকাতা লিগের মতোই ছন্নছাড়া ফুটবল। বরং ডাউনটাউন হিরোজ বারবার হানা দিচ্ছিল মোহনবাগান রক্ষণে।
ম্যাচের শুরুতেই মোহনবাগান গোলকিপার জাহিদকে পরীক্ষা করেন ডাউনটাউন হিরোজের জাহিদ বুখারি। ৪ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে বাঁদিক থেকে বক্সে ঢুকে ডানপায়ে কোণাকুণি শট নিয়েছিলেন। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে কোনও রকমে সেই শট বাঁচান মোহনবাগান গোলকিপার জাহিদ। মোহনবাগানের বলার মতো সুযোগ আসে ৩০ মিনিটে। বক্সের মধ্যে ভাল জায়গায় বল পেয়েছিলেন সুহেল ভাট। দুরূহ কোণ থেকে নেওয়া তাঁর শট বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৩৪ মিনিটে আবার গোলের সুযোগ এসেছিল ডাউনটাউনের সামনে। বাগান ডিফেন্ডার রাজ বাসফোরকে পরাস্ত করে বক্সের মধ্যে থেকে শট নিয়েছিলেন ডাউনটাউন হিরোজের লাইবেরিয়ান স্ট্রাইকার নর্টন। বল পোস্টের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধে গোল লক্ষ্য করে একটাও শট নিতে পারেনি মোহনবাগান। অন্যদিকে, ২টি শট নিয়েছিল ডাউনটাউন হিরোজ। যদিও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধেও সুহেল ভাটদের সেভাবে আক্রমণে যাওয়ার সুযোগ দিচ্ছিলেন না ডাউনটাউন হিরোজের ডিফেন্ডাররা। বরং প্রতি আক্রমণে উঠে এসে মোহনবাগান রক্ষণে বারবার হানা দিচ্ছিলেন জাহিদ বুখারি, নর্টনরা। ৭১ মিনিটে সবথেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জাহিদ বুখারি। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল মোহনবাগান গোলকিপারকে পরাস্ত করে চলে এসেছিল তাঁর সামনে। ফাঁকা গোলের সামনে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি বুখারি।
অবশেষে ৭৩ মিনিটে কাঙ্খিত গোল পেয়ে যায় মোহনবাগান। ডাউনটাউনের মাঝমাঠ থেকে গ্লেন মার্টিন্স বাঁদিকে বল বাড়িয়েছিলেন টাইসন সিংকে। বল ধরে টাইসন পাস বাড়ান বাঁদিক থেকে ওভারল্যাপে উঠে আসা আশিস রাইকে। আশিসের মাইনাস থেকে জয়সূচক গোল করে দলের ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করেন সুহেল ভাট। নজর ছিল বাগানের নতুন বিদেশি টম অ্যালড্রেডের দিকে। প্রথম ম্যাচে কিন্তু সেভাবে নজর কাড়তে পারেননি এই বিদেশি।
আরও পড়ুনঃ শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছন্দে, মনু ভাকেরের হাত ধরে প্যারিসে প্রথম পদকের স্বপ্ন ভারতের