বিতর্ক আর মহমেডান যেন সমার্থক। পাঞ্জাব এফসি–র বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগের দিন ক্লাব কর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। একদিকে ক্লাব সচিব, অন্যদিকে সভাপতি ও সহ–সভাপতি। বিবৃতি, পাল্টা বিবৃতি। তার ওপর বেতন নিয়ে ফুটবলারদের মধ্যে অসন্তোষ। এই অবস্থায় ফুটবলাররা মাঠে নিজেদের কতটা মেলে ধরতে পারে, সেটাই ছিল দেখার। যথারীতি বাইরের বিতর্কের প্রভাব মাঠেও। পাঞ্জাব এফসি–র কাছে হারতে হল মহমেডানকে। ম্যাচের ফল ২–০। আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক সাদাকালো ব্রিগেডের।
আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেদিন আইএসএলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল মহমেডান, দলকে ঘিরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন সমর্থকরা। স্বপ্ন দেখলেই তো হবে না, আইএসএলের মতো কঠিন প্রতিযোগিতায় খেলতে গেলে চাই ভাল দল। এখানেই শতযোজন পিছিয়ে ছিলেন মহমেডান কর্তারা। তাই আইএসএলের শুরু থেকেই তার খেসারত দিতে হচ্ছে। না আছে ভাল মানের দেশীয় ফুটবলার, না আছে বিদেশি। তার ওপর পাঞ্জাব এফসি–র বিরুদ্ধে দলের রক্ষণভাগের অন্যতম স্তম্ভ গৌরব ভোরা ছিলেন না। তাঁর না থাকাটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়ে গেল পাঞ্জাব।
প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল পাঞ্জাবের সামনে। কাজে লাগাতে পারেননি ফিলিপ মার্জলিজাক। ৬ মিনিটে মহমেডানকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল ফ্রাঙ্কার সামনে। অমরজিৎ সিং কিয়ামের পাস ৬ গজ বক্সের মধ্যে পেয়েও বাইরে মারেন। ২ মিনিট পর সুযোগ নষ্ট করেন সামাদ আলি মল্লিক। শুরুর চাপ কাটিয়ে আস্তে আস্তে খেলায় ফেরে পাঞ্জাব। ১৫ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। লুকা মাজসেনের শট মহমেডান গোলকিপার ভাস্কর রায়কে পরাস্ত করে পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ২ মিনিট পর সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মহমেডানের রেমসাঙ্গা। এই সময় খেলার রাশ ছিল মহমেডানের হাতে। কিন্তু ফ্রাঙ্কা, মানজোকিরা তিনকাঠি ভেদ করতে পারছিলেন না। প্রথমার্ধে খেলার ফল থাকে গোলশূন্য।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও মহমেডানের দাপট ছিল। ৪৭ মিনিটে ফ্রাঙ্কার কাছ থেকে বল পেয়ে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন রেমসাঙ্গা। অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটেই মানজোকির শট বাইরে যায়। এরপরই খেলা ধরে নেয় পাঞ্জাব। ৪৯ মিনিটে লুকা মাজসেনের পাস থেকে বল পেয়ে ফিলিপ মার্জলিজাক দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন। অসাধারণ দক্ষতায় বাঁচান মহমেডান গোলকিপার ভাস্কর রায়। অবশেষে ৫৮ মিনিটে এগিয়ে যায় পাঞ্জাব। মার্জলিজাকের শট ভাস্করের হাত ছুঁয়ে পোষ্টে লেগে ফিরে লাগে। ফিরতি বল পেয়ে মাজসেনকে দেন রিকি সাবং। ডানপায়ের জোরালো শটে গোল করেন লুকা মাজসেন। ৬৬ মিনিটে এজেকুয়েল ভিদালের পাস থেকে ২–০ করেন ফিলিপ মার্জলাক। ১০ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট পেয়ে খাদের আরও গভীরে মহমেডান।
আরও পড়ুনঃ বিধ্বংসী মিচেল স্টার্কের ৬ উইকেট, অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের ছটায় বিপর্যস্ত ভারত
আরও পড়ুনঃ শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত, সামনে বাংলাদেশ