ব্যালন ডি’অর নিয়ে ম্যাচ শুরু আগেই বিশাল এক টিফোতে কটাক্ষ। সেটাই কি তাতিয়ে দিয়েছিল রিয়েল মাদ্রিদকে? না হলে, এইরকম দুরন্ত প্রত্যাবর্তন হবে কেন? ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে আগে কখনও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটিকে হারাতে পারেনি রিয়েল মাদ্রিদ। এবার সেটাই করে দেখাল। তাও আবার ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ২–১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ মুহুর্তে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ৩–২ ব্যবধানে জয় রিয়েল মাদ্রিদের।
আর্লিং হালান্ডের জোড়া গোলে ৮৫ মিনিট পর্যন্তও ২–১ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল রিয়াল। ৮৪ মিনিটে রডরিগোর পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন ব্রাহিম দিয়াজ। মাঠে নামার ২ মিনিটের পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল দিয়াজের। ম্যান সিটি গোলকিপার এডেরসন ভুল পাস পেয়ে যান জুড বেলিংহাম। তিনি বল বাড়ান বক্সের মধ্যে থাকা ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে। ভিনিসিয়াসের শট প্রতিহত করেন এডেরসন। ফিরতি বল পেয়ে যান দিয়াজ। জোরালো শটে গোল করে সমতা ফেরান তিনি।
এরপরও নাটক অপেক্ষা করছিল। গোটা স্টেডিয়াম ধরে নিয়েছিল ম্যাচ ড্র–য়ের পথেই এগোচ্ছে। ইনজুরি সময়ের ২ মিনিটে আবার নাটক। বল ধরে একক প্রয়াসে এগিয়ে যান ভিনিসিয়াস। রিকো লুইসকে পেছনে ফেলেন। কাটিয়ে নেন রুবেন দিয়াজকে। এডেরসন গোল ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তাঁকে বেরিয়ে আসতে দেখে বেলিংহামকে পাস বাড়ান ভিনিসিয়াস। জন স্টোনস ছুটে এসে বেলিংহামকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আটকাতে পারেননি। দুরন্ত শটে গোল করে রিয়েলকে নাটকীয় জয় এনে দেন বেলিংহাম।
যদিও, ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল ম্যানচেস্টার সিটির। ১৯ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের গোলে এগিয়েও গিয়েছিল। জ্যাক গ্রিলিশের সেন্টার গাভারদিওল বুক দিয়ে নামিয়ে দেন হালান্ডকে। বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি হালান্ড। পিছিয়ে পড়ার পর সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে রিয়েল। ২৫ মিনিটে সুযোগও এসেছিল। ভিনিসিয়াসের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। প্রথমার্ধে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ম্যান সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধে বারবার আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন ভিনিসিয়াস, বেলিংহামরা। ৫৪ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপে। রড্রিগোর সেন্টার সরাসরি এডেপসনের গায়ে মারেন। অবশেষে ৬০ মিনিটে সমতা ফেরায় রিয়েল। ভালভার্দের নেওয় ফ্রিকিক থেকে বল পেয়ে যান দানি সিবায়োস। তাঁর উঁচু সেন্টার ধরে জোরালো শটে গোল করেন এমবাপে। ৮০ মিনিটে ফিল ফোডেনকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ম্যান সিটি। রিয়েল গোলকিপার কোর্তোয়াকে উল্টোদিকে ফেলে ২–১ করান হালান্ড। এরপর ম্যাচের বাকি সময়ে শুধুই রিয়েলের দাপট।
৩–২ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর পথে অনেকটা এগিয়ে গেল রিয়েল মাদ্রিদ। কারণ, ১৯ ফেব্রুয়ারি প্লেঅফ পর্বের ফিরতি লেগের ম্যাচটা নিজেদের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে খেলবে কার্লো আনসেলত্তির দল।
আরও পড়ুনঃ বড় ধাক্কা ভারতের, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে ছিটকে গেলেন যশপ্রীত বুমরা