টানা ২২ ম্যাচ অপরাজিত। তার মধ্যে ১৮টিতে জয়, ৪টি ড্র। চলতি বছরে বার্সিলোনার এটাই পারফরমেন্স। আক্রমণভাবে লামিলে ইয়ামাল, রাফিনিয়া, রবার্ট লেওয়ানডস্কির মতো তারকারা। এই রকম শক্তিশালী আক্রমণভাগের বিরুদ্ধে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড কি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে? আশঙ্কা ছিলই। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়ে দাঁড়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টাক ফাইনালের প্রথম পর্বের ম্যাচে বার্সিলোনার সামনে দাঁড়াতেই পারল না বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ৪–০ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালের দিকে একধাপ এগিয়ে গেল বার্সিলোনা। জোড়া গোল রবার্ট লেওয়ানডস্কির।
ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য ছিল বার্সিলোনার। ৫ মিনিটেই গোলের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ইয়ামালের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান ডর্টমুন্ড গোলকিপার গ্রেগর কোবেল। ২ মিনিট পরই লেওয়ানডস্কিকে আটকে দেন। বার্সার আক্রমণের চাপ এতটাই ছিল, প্রথম ২০ মিনিট বিপক্ষের বক্সে ঢুকতেই পারেননি ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররা। ম্যাচের ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সিলোনা। ফ্রিকিক থেকে বল পেয়েছিলেন পাউ কুবারসি। তাঁর শট গোলে ঢোকার মুখে শেষ মুহূর্তে পা ছোঁয়ান রাফিনিয়া। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১২ গোল করে ফেললেন এই ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
পিছিয়ে পড়ে লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করে ডর্টমুন্ড। কয়েকবার প্রতিআক্রমণেও উঠে আসার চেষ্টা করে। ৩৬ মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি। ৪০ মিনিটে আরও একটা সুযোগ পেয়েছিল। এবারও ডর্টমুন্ডকে ম্যাচে ফেরার সুযোগ দেয়নি বার্সিলোনা রক্ষণ। প্রথমার্ধে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে বার্সিলোনা।
বিরতির পরপরই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় বার্সিলোনা। ইয়ামালের সেন্টারে হেড করেছিলেন রাফিনিয়া। সেই বলে হেড করে জালে পাঠান ২ গোলে এগিয়ে গিয়ে আক্রমণে আরও চাপ বাড়ায় বার্সিলোনা। ৬৬ মিনিটে দলের হয়ে তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লেওয়ানডস্কি। ৭৭ মিনিটে তিনজনের যুগলবন্দীতেই চতুর্থ বল। লেওয়ানডস্কির কাছ থেকে বল পেয়ে রাফিনিয়া বানান ইয়ামালকে উদ্দেশ্য করে। ডর্টমুন্ড গোলকিপার কুবেলকে পরাস্ত করে বল জালে পাঠান ইয়ামাল।
অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে। পিএসজি–র হয়ে গোল তিনটি করেন দেসিরে দোয়ে, নুনো মেন্ডেস ও খিচা কাভারাস্কেইয়া। গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন কাভারাস্কেইয়া। তিন কাঠির নীচে এমিলিয়ানো মার্টিনেজ অপ্রতিরোধ্য না হলে অ্যাস্টন ভিলার লজ্জা আরও বাড়ত। ঘরের মাঠে এই জয়ের ফলে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল পিএসজি।
আরও পড়ুনঃ টানা ৪ ম্যাচে জয়, রাজস্থান রয়্যালসকে ৫৮ রানে উড়িয়ে শীর্ষে উঠে এল গুজরাট টাইটান্স