গত বছর একদিনের বিশ্বকাপের পর থেকেই মাঠের বাইরে মহম্মদ সামি। বিশ্বকাপ চলাকালীনই গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। তারপর থেকেই রয়েছেন রিহ্যাবে। খেলতে পারেননি আইপিএল, টি২০ বিশ্বকাপ। প্রশ্ন উঠছিল, কবে থেকে মাঠে ফিরবেন মহম্মদ সামি? অবশেষে সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেছে। ঘরের মাঠে আসন্ন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেই আবার বাইশ গজে দেখা যাবে মহম্মদ সামি। তেমনই আশা ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের।
আগামী সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে আসবে বাংলাদেশ দল। খেলতে দুটি টেস্ট ও তিনটি টি২০ ম্যাচ। ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট দিয়ে সিরিজ শুরু। দীর্ঘ ১০ মাস পর ওই ম্যাচেই আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে সামির। তবে সবকিছু নির্ভর করছে তাঁর ফিটনেসের ওপর। এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট আকাডেমিতে রিহ্যাব করছেন মহম্মদ সামি। আকাডেমির ফিজিওদের আশা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই থেলার মতো জায়গায় চলে আসবেন ৩৩ বছর বয়সী ভারতের এই জোরে বোলার।
জাতীয় দলে ঢোকার আগে যে কোনও ক্রিকেটারকে ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্ততঃ একটা ম্যাচ খেলে ফিটনেসের পরীক্ষা দিতে হবে। মহম্মদ সামি কী করবেন? বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে দলীপ ট্রফির খেলা রয়েছে। ভারত দীর্ঘদিন লালবলের ক্রিকেটে খেলেনি। বোর্ডে আগেই নির্দেশ দিয়েছে, ক্রিকেটারদের দলীপ ট্রফিতে খেলার। মহম্মদ সামির সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে খেলা নির্ভর করছে এই দলীপ ট্রফির ওপর। দলীপে যদি সামি নিজেকে ম্যাচ ফিট প্রমান করতে পারেন, তাহলেই খুলে যাবে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের দরজা। না হলে অপেক্ষার প্রহর বাড়বে।
বাংলাদেশ সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি টেস্টের সিরিজ খেলবে ভারত। তারপর যাবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। অস্ট্রেলিয়া সফরে মহম্মদ সামির খেলাটা খুবই জরুরি। কারন, ওই সিরিজের ওপরই অনেকটা নির্বর করবে ভারতের পরবর্তী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার ভাগ্য। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজেও যদি সামি মাঠে নামতে না পারেন, তাহলে একেবারে রনজিতে বাংলার হয়ে মাঠে নামবেন। সম্প্রতি কলকাতায় এসে বাংলার হয়ে দু–একটা ম্যাচ খেলার কথাও বলে গেছেন সামি।
আরও পড়ুনঃ টানা ৩ ম্যাচে জয়, ইস্টার্ন রেলকে হারিয়ে কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল